ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন

আপনি হয়তো জানেন যে, ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন শুধু সেলিব্রেটিরা পেয়ে থাকে। কিন্তু সেলিব্রেটি ছাড়াও সাধারণ মানুষ ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন পেয়ে থাকে। সাধারণ মানুষ কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন পাবে, এই আর্টিকেলে সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন
ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন করার সমস্ত তথ্য, আমি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন করবেন? সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন

ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন

কিভাবে একটি ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন করতে হয়। সে সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে আজকে জানাবো। বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেক মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন সম্পর্কে সুন্দর ও সঠিক তথ্য জানতে, আপনারা এই আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে মনোযোগ দিয়ে গুরুত্ব সহকারে পড়বেন। তাছাড়া আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশনের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে কিছুই জানেনা। 

ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার নিয়ম খুবই সহজ। আমাদের ধারণা একজন সেলিব্রেটি ছাড়া, ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন সাধারণ মানুষ পাই না। আসলে বিষয়টা সেরকম না। ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন আমরা যে কেউ পেতে পারি। তার জন্য আমাদেরকে কিছু নিয়ম কানুন মানতে হবে। চলুন তাহলে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি। আমরা আমাদের নিজের অ্যাকাউন্টটি এমন করে সাজাবো যেন ফেসবুক বুঝতে পারে, যে মানুষ আমাকে ফলো করছে। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করবেন

এবং আমি যে একজন নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারী। আপনি যদি ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন পেতে চান। তাহলে কখনো ফেক আইডি ব্যবহার করবেন না। কারণ ফেসবুক কখনই ফেক আইডিতে একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন দিবে না। আপনাকে অবশ্যই অরিজিনাল আইডি থেকে  একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন করাতে হবে। অন্য কোন আইডি থেকে ভিডিও লিংক বা গুগল থেকে কোন কিছু ডাউনলোড নিলে একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন হবে না। 

নিজের তৈরি করা পোস্ট বা ভিডিও গুলোর প্রচুর পরিমাণে রেসপন্স বাড়াতে হবে। একটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে প্রচুর পরিমাণে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার হয় ফেসবুক এ বিষয়গুলো লক্ষ্য করে। বর্তমান সময়ে আপনার আইডিতে যদি ৫ থেকে ৬ হাজার ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। ফেসবুক আইডিতে ব্লু ভেরিভিশন পেতে কি কি লাগে সে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। নিম্নে সেগুলোর তালিকা প্রদান করা হলো।

  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্টের ছবি বা স্ক্রিনশট কপি।
  • নিজের নাম সঠিকভাবে লিখতে হবে, যেভাবে আইডি কার্ডে লেখা আছে।
  • অনেক সময় ফ্রন্ট ক্যামেরার সাহায্যে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন চাইতে পারে। চাইলে সেটি সঠিকভাবে করবেন।
  • ভিউয়ার্সদের রেসপন্স ইত্যাদি।

এবার আপনার ফেসবুক হোমপেজ ওপেন করবেন, সেখানে যাওয়ার পরে থ্রি ডটে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে যে পেজে নিয়ে যাবে, সেখানে হেল্প সেন্টার নামে একটি অপশন পাবেন। হেল্প সেন্টারের উপরে ক্লিক করলে, আপনি একটি সার্চ মেনু পাবেন সেখানে Verification Badge লিখে সার্চ দিলে, Request a Verified Badge অপশন চলে আসবে। 

আরো পড়ুনঃ নাথিং ফোন price in bangladesh

এ অপশনে গেলে ব্লু ভেরিফিকেশনের সমস্ত তথ্য আপনাকে জানাবে। নিয়ম নীতি গুলো ভালোভাবে পড়ে, নিচের দিকে খেয়াল করবেন। নিচের দিকে Contact Form নামে একটি অপশন নীল কালারের দেখাবে, ফরম টি পূরণ করতে হবে। তারপরে আপনার সামনে দুটি অপশন আসবে।

  • পেজ
  • প্রোফাইল

আপনি পেজ বা প্রোফাইল যে কোনটিতেই ভেরিফিকেশন করাতে পারবেন। সমস্ত নিয়ম গুলো থেকে, আপনি নিচের দিকে আসলে ক্যাটাগরি নামে অপশন পাবেন। সেখানে আপনি অপশন সিলেক্ট করবেন। যে বিষয়ে আপনি পোস্টগুলো করে থাকেন সে বিষয়ে সিলেক্ট করবেন। যেমন- ট্রাভেলিং, খেলাধুলা, রান্না ইত্যাদি। তারপর আপনি যে দেশের নাগরিক, সে দেশ সিলেক্ট করতে হবে। এবার আপনার অরিজিনাল আইডি কার্ডের ছবি পেজে আপলোড করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ হ্যাক হলে ফিরে পাওয়ার ১৫টি উপায়

এরপর আপনাকে আরো একটি ফরম পূরণ করতে হবে, আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন চাইতে পারে, যেমন আপনি কে? আপনি কি করেন ইত্যাদি। এরপরে এটি ফেসবুকের উদ্দেশ্যে সেন্ড করবেন। আপনার সকল তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে ফেসবুক আপনাকে ব্লু ভেরিফিকেশন দিতে পারে। দুই একদিনের মধ্যে ফেসবুক আপনার কাছে মেসেজ পাঠাবে যে, আপনার আইডিটি ভেরিফিকেশন পেয়েছে নাকি পাইনি। এভাবেই একাউন্টে ভেরিফিকেশন পেতে হয়।

ব্লু ব্যাজ কি

ব্লু ব্যাজ কি? এই বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেলটি লিখব। যে সমস্ত বন্ধুরা ব্লু ব্যাজ কি? জানেন না তাদের জন্য আর্টিকেলটি বেশি উপকারে আসবে। চলুন তাহলে ব্লু ব্যাজ কি? সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি। ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা চালু আছে। যে সমস্ত একাউন্টের পাশে নীল বা হালকা কালো রঙ্গের টিক চিহ্ন থাকে। 

ফেসবুকে নীল বৃত্তাকারে সাদা যে টিক চিহ্ন থাকে তাকেই ব্লু ব্যাজ বলে। নিয়ম মেনে যে কেউ চাইলে ব্লু ব্যাজের আবেদন করতে পারেন। তবে সেটি অবশ্যই বৈধ ও লিগাল একাউন্ট হতে হবে। শুধু বৈধ একাউন্টে ফেসবুক ব্লু টিক দেয়। ব্লু টিক পাওয়ার জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফেসবুকের বরাবর আবেদন করতে হয়। ফেসবুক উক্ত একাউন্টটি ভালো হবে যাচাই করে ব্লু ব্যাজ দিয়ে থাকে।

ভেরিফাই কি

ভেরিফাই কি? এ কথার উত্তর পেতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমি আপনাদের সঙ্গে ভেরিফাই কি? এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব এবং ভেরিফাই কি? এ বিষয়ে সমস্ত সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে ভেরিফাই কি? এ বিষয়ে জেনে নিই। বিশিষ্ট ব্যক্তি বা অনেক তারকাদের একাউন্টে নীল রঙের চিহ্নের মধ্যে সাদা টিক দেওয়া থাকে। তার মানে ফেসবুক আইডি টি বৈধ এবং ভেরিফাই করা। এটা যে কেউ বিনামূল্যে করে নিতে পারে। সেজন্য একটি বৈধ ফেসবুক আইডি লাগবে।

যে ভাবে প্রোফাইল ও পেজ ভেরিফাই করাবেন

যে ভাবে প্রোফাইল ও পেজ ভেরিফাই করাবেন, ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে (https://cutt. ly/NP0 loHZ) যেতে হবে। এরপর ‘Verify your page or profile’ অপশন থেকে আপনার পেজ বা প্রোফাইল সিলেক্ট করতে হবে। এরপর যে প্রোফাইল ভেরিফাই করাতে চান সেটির লিঙ্ক লিখতে হবে। ফেসবুকে আপনার প্রোফাইলে ক্লিক করলে ব্রাউজারের ইউআরএলে যে লিংক দেখা যায়, তা (www.facebook. com/.......) লিখতে হবে। 

এবার পেজের জন্য নির্দিষ্ট পেজের লিংক দিতে হবে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই পেজের এডমিন হতে হবে। এরপর  ‘Select a category for the Page or profile’ আপনি যে পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই করতে চান সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ‘Which country is this entity from?’ আপনি কোন দেশের নাগরিক তা কনফার্ম করতে হবে। এরপর Please attach a photo of your ID, আপনার ছবি, আইডি নাম্বার, আয়কর নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে, ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হবে। 

আপনার আইডিতে থাকা ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ফেসবুকের নীতি মেনে করা হয়েছে কিনা তা কনফার্ম করতে হবে। তারপরে কেন আপনি আপনার প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফাই করাতে চান তা জানিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য ফেসবুক যাচাই-বাছাই করে, আপনার প্রোফাইলে বা পেজে নীল টিক যুক্ত করবে। নীল টিক যুক্ত না হলে আপনাকে আবার ৩০ দিন পর আবেদন করতে হবে। যে ভাবে প্রোফাইল ও পেজ ভেরিফাই করাবেন তা বিস্তারিত হবে বর্ণনা করলাম।

উপসংহার

আপনি যে তথ্য পাওয়ার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেছিলেন। আশা করি সমস্ত তথ্য সঠিক ভাবে পেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url